পোস্টগুলি

ভাতে কেরোসিন যাত্রাপুরে, অভিযোগ বাংলাদেশী

  আনন্দবাজার পত্রিকা ১৩ মার্চ, ২০০৬  ভাতে কেরোসিন ঢেলে দিয়েছে পুলিশ, অভিযোগ যাত্রাপুরে নিজস্ব সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর :  বাবা 'বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী' —এই কারণে চার বছরের অনিতা দেবনাথের ভাতের থালায় কেরোসিন ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল নদিয়ার কোতোয়ালি থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। কিছু বাড়িতে তারা টাকা-গহনা লুঠ করেছে বলেও অভিযোগ। রবিবার ওই ঘটনার পরে নদিয়ার কৃষ্ণনগর মহকুমার যাত্রাপুর সারাদিনই ছিল থমথমে। জেলাশাসকের নির্দেশে জেলা পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নদিয়ার পুলিশ সুপার আর রাজশেখরণ অবশ্য বলেন, “একটা বাড়ির দশটা টালি ও আর একটি বাড়ির দরজার পাল্লা ভেঙেছে বলে খবর পেয়েছি। আমি ডিএসপি (সদর)-কে বলেছি বিষয়টি তদন্ত করতে।" কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অঞ্জনা রায়ের দাবি, “এই দিন পুলিশ মধ্যযুগীয় অত্যাচার করেছে। হুমকি দিয়েছে, পলাতকেরা এক দিনের মধ্যে ধরা না দিলে তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হবে। টাকা গহনাও লুঠ করেছে পুলিশ। চার বছরের বাচ্চার খাবারে কেরোসিন ঢেলে দিয়েছে।” নদিয়ার জেলাশাসক রাজেশ পান্ডের বক্তব্য, " অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।&q

ভোটারতালিকা থেকে ১৩ লাখ বাদ

  আনন্দবাজার পত্রিকা ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ বহু কাজ বাকি, ১৩ লক্ষ নাম ছেঁটেও বলছে কমিশন নিজস্ব সংবাদদাতা : রাজ্যের ভোটার তালিকা থেকে প্রায় ১৩ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ দিয়েও খুশি নয় নির্বাচন কমিশন। বুথ-ভিত্তিক তথ্য-পরিসংখ্যান দেখে কমিশনের মনে হয়েছে, ভোটার তালিকার ব্যাপারে আরও কাজ বাকি। বুধবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার দেবাশিস সেন জানান, বুথ-ভিত্তিক ভোটার সংযোজন ও বিয়োজনের হিসাব খতিয়ে দেখে কমিশনের পক্ষ থেকে তিনি নিজেই পুরুলিয়া সফরে যাচ্ছেন। তার পরেও তথ্য-পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে অন্য জেলা সফরের প্রসঙ্গ আসবে। সেখানে তিনি নিজে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজকর্ম খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন, “আমরা বিধানসভা কেন্দ্র-ভিত্তিক, এমনকী বুথ- ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করছি।” তার ভিত্তিতেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, কমিশন নিযুক্ত নোডাল অফিসারকে শহরাঞ্চলে পুরসভার অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে মৃত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার অভিযান চালাতে হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা হাতে নিয়ে, বাড়ি বাড়ি ঘুরে। প্রয়োজনে ভোটের আগে নতুন করে সংশোধিত অতিরিক্ত ভোটার তাল

তৃণমূল নেত্রী ফের সংসদে

  আনন্দবাজার পত্রিকা ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ (০৬) ইস্তফা গ্রাহ্য হয়নি 'জেনে' ফের সংসদে তৃণমূলনেত্রী নিজস্ব সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি, ১৬ ফেব্রুয়ারি : অবশেষে সংসদে ফিরলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দেড় মাস পরে। যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা শুনতে আজ তিনি হাজির ছিলেন সেন্ট্রাল হলে। অতএব বিধানসভা নির্বাচনের আগে যুদ্ধ যা-ই হোক, আপাতত সংসদে মধুরেণসমাপয়েত। স্পিকার সোমনাথ চট্টপাধ্যায় তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেননি। লোকসভার সচিবালয় থেকে কিছু দিন আগে তাকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইস্তফা গ্রহণ করা হচ্ছে না। অতএব মমতা সংসদে যোগ দিলেন। তৃণমূল নেত্রী গত ৪ আগস্ট একটি মুলতুবি প্রস্তাব এনে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের বিষয় নিয়ে বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তালিকায় তার নাম না থাকার যুক্তিতে স্পিকার তাকে বলার সুযোগ দেননি। এই অভিযোগে তাই মমতা পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকারের কাছে। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কোনও সংসদ সদস্য যদি ইস্তফা দিতে চান, তবে তা নিতে হবে লোকসভার স্পিকারের কাছে। ডেপুটি স্পিকারের কাছে ইস্তফা দেওয়া অবৈধ। তাই তাঁর ইস্তফা স্বীকার করা হচ্ছে না। মুখে এ কথা বললেও

বলাগড়ে গ্রেফতার ৭ বাংলাদেশী

  আনন্দবাজার পত্রিকা ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ বলাগড়ে পর্যবেক্ষকের হাতে পাকড়াও সাত বাংলাদেশি নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতীয় নাগরিক হিসাবে তাঁরা কেউই কোনও পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি। অথচ সবার কাছেই মজুত ভোটার পরিচয়পত্র। পর্যবেক্ষকের গুঁতোয় এ বার পুলিশ গ্রেফতার করল সাত বাংলাদেশি নাগরিককে, ঘটনাটি হুগলির বলাগড়ের। পর্যবেক্ষক এন শিবশৈলম ভোটার তালিকা ধরে ধরে পরিচয় যাচাই করছিলেন। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই বাংলাদেশি নাগরিকদের জেরা করতে শুরু করেন তিনি। নাগরিকত্বের প্রমাণ দেখাতে না পারায় শিবশৈলমের নির্দেশে এফআইআর করেন বলাগড়ের বিডিও। তার জেরেই ধরা হয় সাত জন বাংলাদেশিকে। হুগলির পুলিশ সুপার সুপ্রতিম সরকার বলেন, "বিডিও-র অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।” বলাগড়ের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী মোট ৮০ জনের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর করা হয়েছিল মঙ্গলবার, তাঁদের মধ্যে ধরা হয় ৭ জনকে। ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করতে আরামবাগ বিধানসভা কেন্দ্রে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন শিবশৈলম। ভোটার তালিকায় নাম তোলা, বাতিল, সংশোধন ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে শুদ্ধকরণ প্রক্রিয়ায় আরামব

বাংলাদেশী রেজিষ্টার অপসারিত

  ১৩ ডিসেম্বর, ২০০৭, আনন্দবাজার পত্রিকা  অপসারিত রেজিস্ট্রার বাংলাদেশি, উত্তরবঙ্গে অভিযোগ উপাচার্যের নিজস্ব সংবাদদাতা, কোচবিহার: অপসারিত রেজিষ্টার পরিমল সরকারের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ বারে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মৃণালকান্তি মজুমদার। মঙ্গলবার তিনি কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, পরিমলবাবু বাংলাদেশের নাগরিক। বেআইনিভাবে শংসাপত্র সংগ্রহ করে তিনি এ দেশে বসবাস করছেন। অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক রাজেশ সিংহ। তিনি বলেন, "রেজিস্টারের বিরুদ্ধে অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ করেছেন উপাচার্য। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।” গত ৪ ডিসেম্বর উপাচার্য পরিমল সরকারকে রেজিষ্টার পদ থেকে বরখাস্ত করার পরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আধিকারিক, কর্মী এবং ছাত্রদের একাংশ ধর্না, মিছিল, ক্লাস বয়কট শুরু করায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রেজিস্টারের অভিযোগ, ছাত্র ভর্তি নিয়ে দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে তাঁর নে

বাংলাদেশী যাত্রাপুর বাড়িছাড়া

  আনন্দবাজার ২৪ ফেব্রুয়ারি,২০০৬  গ্রেফতারি এড়াতে রাতে বাড়ি ছাড়া নদিয়ার গ্রাম নিজস্ব সংবাদদাতা, কৃষ্ণনগর: গ্রেফতারি এড়াতে বাড়িতে রাত কাটাতে পারছেন না নদিয়ার কোতোয়ালি থানা এলাকায় যাত্রাপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রায় ৩০০ জন পুরুষ। ওই বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা বাংলাদেশি। তাঁদের নাম আপাতত বাদ না পড়লেও ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা, কৃষ্ণনগর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অঞ্জনা রায়ের স্বামীর নাম। বুধবার ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায় তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অঞ্জনা দেবীর স্বামী কৃষ্ণপদ রায়ের নাম নেই। বুধবার এ ব্যাপারে অঞ্জনা দেবীর তরফে লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কৃষ্ণনগর (সদর)-এর মহকুমা শাসক অজয় স্যান্নামত। তিনি বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি প্রমাণিত হয় কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কৃষ্ণপদ রায়ের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কৃষ্ণপনবাবুর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে।" অঞ্জনা দেবীর অভিযোগ, “উদ্দেশ্যপ্রণো

বিজেপি সরকার

  বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কাজ ও ঘোষণায় স্পষ্ট যে, তারা ভারতের সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংস করতে চায় এবং চলমান সংবিধানকে নস্যাৎ করে মনুসংহিতার আদলে ব্রাহ্মণ্যবাদী প্রাচীন ধর্মীয় ভাবধারা প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। তারা যদি এই কাজে সফল হয় বা এখনকার থেকে আরো খানিকটা অগ্রসর হতে সমর্থ হয়, তাহলে তা তবে সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য ক্ষতিকর, সভ্যতার পিছু হটা। আর বিশেষ করে দেশের মেহনতি মানুষ, দলিত, মুসলমান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুশ্রেণীর মানুষেরা বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবেন। এই অবস্থায় দেশের গরীব মেহনতি জনগণ, শান্তিপ্রিয় মানুষ এবং অন্যান্য সব গণতন্ত্র  ধর্মনিরপেক্ষ দেশবাসীর আশু কর্তব্য হলো নিজেদের মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝি ও সমস্ত রকমের দ্বন্দ্ব- বিরোধ স্থগিত রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপি দল ও সরকারের বিরোধিতা করা এবং তাদের সরকারি ক্ষমতা থেকে হটিয়ে দেওয়া। ভারতবর্ষের বড় বড় সংসদীয় দলগুলির নানা সীমাবদ্ধতা আছে, তারাও নানা দোষে দুষ্ট ; তাদের অতীত নিয়ে মানুষের মনে বহু প্রশ্ন আছে, অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতাও আছে। আবার এটাও সত্য যে, সব দলই নুতন নুতন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে চলেছে, নানা ঘাত- প্রতিঘাত  ও অবস্থার